«

»

জুলাই 15

ফাইন্যান্স ১০১ – অর্থবিজ্ঞান পরিচিতি: ক্লাস-৬

এখানে কোর্সে নিবন্ধন করুন

কোর্স পরিচিতি দেখুন

ঝুঁকি ও তার প্রতিদান (মুনাফা), কেন এবং কখন ঝুঁকি নেবেন

আমাদের জীবনে প্রতিনিয়তই আমরা ঝুঁকি (Risk) শব্দটি শুনে থাকি এবং এর অর্থ সবার কাছেই মোটামুটি পরিস্কার। তবে এটাকে সংজ্ঞায়িত করতে গেলে কিছুটা গোলমাল বেধে যায় – সবার মতো সেটা আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই চলুন আগে ছোট্ট একটা ঘটনার মাধ্যমে ঝুঁকি শব্দটিকে সংজ্ঞায়িত করতে চেষ্টা করি।

ধরুন আপনি কোন এক গ্রীষ্মে গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। মামার বাড়িতে বিশাল আম বাগান। যেহেতু গ্রীষ্মকাল তাই বলাই বাহুল্য আমগাছ গুলোতে বড় বড় আম পেকে আছে। একটা গাছের বেশ উচুঁ ডালে আম ধরে আছে এবং আপনি তা পেড়ে খেতে চাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি আম পাড়তে গাছে উঠবেন কি না! আম পাড়তে পারলে এর ফলাফল খুবই সুমিষ্ট, রসালো আম আপনার খাওয়া হবে – যাকে আমরা মুনাফা বা রিটার্ন বলতে পারি। তবে এ সিদ্ধান্ত নেয়াটা যে খুব সহজ তা নয়, কেননা গাছে চড়লে পড়ে ব্যাথা পাবার সম্ভানা আছে – যাকে আমরা ঝুঁকি বলে থাকি।

তাহলে মোটামুটি এই হল ঝুঁকির সংজ্ঞায়ন। এবার এই ঘটনাটাকেই আরও একটু এগিয়ে নেই। ধরে নিলাম যে ডালে আম আছে সেটা অনেক উচুঁতে, পড়লে ভালরকম ব্যাথা পাবার -এমনকি হাত পা ভাঙ্গার সম্ভাবনা আছে। যেহেতু আমরা ফাইন্যান্সের আলোচনা করছি তাই হাত-পা ভাঙ্গলে যে ব্যাথা পাবেন তার কথা আপাতত বাদ দিলাম। ধরে নিচ্ছি পড়ে গিয়ে হাত পা ভাংলে এক্স-রে, ডাক্তার এবং ওষুধ বাবদ খরচ হবে ১৫০০ টাকা। অন্যদিকে গাছের ওই ডালে চড়ে আপনি যতগুলো আম পাড়তে পারবেন তার পরিমান দেড় কেজি। ধরলাম বাজারে দেড় কেজি আম পাওয়া যায় ১২০ টাকায়। তাহলে ১২০ টাকার আমের জন্য আপনি যে ঝুঁকি নিচ্ছেন তার আর্থিক মূল্য ১৫০০ টাকা! এবার ধরে নিলাম, আপনি শহুরে – গাছে খুব একটা চড়তে পারেন না!

এবার বলুন আপনি কি গাছে চড়ে আম পাড়ার এই ঝুঁকি নেবেন?

ওপরের ঘটনাটি থেকে বলা যায় – কোন কিছুতে ক্ষতি হবার যে সম্ভাবনা, তাকেই ঝুঁকি বলে।

ঝুঁকিকে অনেকভাগে ভাগ করা যায়, তবে ফাইন্যান্সে শুধু আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে আমরা কাজ করি। ফাইন্যান্স বা অর্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে আর্থিক ক্ষতির যে সম্ভাবনা তাকে আমরা Financial Risk বা আর্থিক ঝুঁকি বা সংক্ষেপে ঝুঁকি বলি। ঝুঁকির সাথে লাভ বা রিটার্নের সম্পর্ক ওতোপ্রোত, সবাই লাভের আশাতেই বিনিয়োগ করে এবং লাভের পরিমান যত বেশি হয় সেই সাথে ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।

লাভ ও ঝুঁকি:

এবার লাভ ও ঝুঁকি বিষয়দুটিকে একটু ব্যাখ্যা করা যাক। ধরলাম আপনি কোথাও ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেন, এই বিনিয়োগ থেকে এক বছর পর আপনি লাভ আশা করছেন ১৫০ টাকা। তাহলে এই বিনিয়োগ থেকে আপনার লাভের হার ১৫০/১০০০ = ০.১৫ বা ১৫%। তবে বছর শেষে আপনি এই বিনিয়োগ থেকে ১৫% হারে লাভ পাবেন তার সম্ভাবনা কতটুকু? যদি লাভের সম্ভাবনা ১০০% হয় তবে এটি একটি ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ, আর যদি লাভের সম্ভাবনা ১০০% না হয় তবে এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ বা Risky Investment।

এবার চলুন একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের লাভ কিভাবে হিসাব করা হয় সেটা দেখি। ধরা যাক আমরা একটি বিনিয়োগ করবো এবং এতে ঝুঁকি বিদ্যমান। ধরি আমাদের বিনিয়োগে লাভের তিনটি সম্ভাবনা আছে, এবং নিচের তালিকায় সেটা দেখানো হল:

সম্ভাব্য লাভ (Possible Return), R

সম্ভাবনা (Probability), P

প্রত্যাশিত লাভ (Expected Return), R X P

-১০%

০.১০

-০.০১

১০%

০.৫০

০.০৫

২৫%

০.৪০

০.১০

মোট:

১.০০

০.১৪ বা ১৪%

এখানে সম্ভাবনা বা Probability হল ১ কারণ সম্ভাবনা কখনো ১ এর বেশি হতে পারেনা এবং সবগুলো লাভের সম্ভাবনাকে যোগ করে আমরা লাভের হার পাই ১৪%। তবে মনে রাখতে হবে এই প্রত্যাশিত লাভে ঝুঁকি বিদ্যামান।

ঝুঁকির হিসাবনিকাশ:

এবার চলুন একটু হিসাব কষে দেখি আমাদের প্রত্যাশিত লাভে কতটা ঝুঁকি বিদ্যমান। এজন্য লাভের যতগুলো সম্ভাবনা রয়েছে তা আমাদের প্রত্যাশিত লাভ ১৪% থেকে কতটা দূরে তা আমাদের বের করতে হবে। এজন্য সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন ব্যবহার করা হয়। যাকে বাংলা বলে পরিমিত ব্যবধান। তবে আমি এখানে ইংরেজি টার্ম স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন ব্যবহার করবো কেননা এর বাংলাটা অপ্রচলিত।

স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন যত বেশি, আমাদের প্রত্যাশিত লাভ তত বেশি ওঠানামা করবে এবং ঝুঁকির পরিমানও তত বেশি। আমরা সবাই পরিসংখ্যানে স্ট্যার্ন্ডাড ডিভিয়েশন বের করা শিখেছি, এবং নিচে সেই হিসাবটি করে দেখানো হল:

সম্ভাব্য লাভ (Possible Return), R

সম্ভাবনা (Probability), P

প্রত্যাশিত লাভ (Expected Return), R X P

ভেদাঙ্ক বা Variance (σ)

-১০%

০.১০

-০.০১

(-.১০-.১৪) (.১০)

১০%

০.৫০

০.০৫

(.১০-.১৪) (.৫০)

২৫%

০.৪০

০.১০

(.২৫-.১৪) (.৪০)

মোট:

১.০০

০.১৪

০.০১১৪ = σ

সুতরাং, σ বা স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন = (০.০১১৪)০.৫ = ০.১০৬৮

অর্থাৎ এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন ০.১০৬৮ বা ১০.৬৮%।

কিছু প্রশ্ন:

এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের প্রত্যাশিত লাভ বা রিটার্নের স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন হল ১০.৬৮%। এখন আমরা কিভাবে সিদ্ধান্ত নেব? আসলেই কি এই বিনিয়োগটি করা উচিৎ হবে কি হবেনা? অথবা এমন যদি হয় যে আমাদের সামনে একাধিক বিনিয়োগের পথ খোলা আছে যাদের প্রত্যাশিত লাভ ও স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন ভিন্ন ভিন্ন, সেক্ষেত্রে আমরা কিভাবে একাধিক বিনিয়োগের মধ্যে তুলনা করবো?

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের আরেকটু হিসাব কষে Coefficient of Variation বা CV বের করতে হবে। এটা বের করা খুবই সোজা – আমাদের শুধু স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশনকে রিটার্ন দিয়ে ভাগ করতে হবে।

অর্থাৎ আমাদের ক্ষেত্রে CV হবে: ০.১০৬৮/০.১৪ = ০.৭৬২৯

হিসাবতো হল, এখন এই CV দিয়ে আমরা কি বুঝবো? সেটাও খুব সোজা যা হিসাব দেখে আপনারা অনেকেই আন্দজ করেছেন। CV দ্বারা প্রত্যাশিত লাভের আপেক্ষিক বা রিলেটিভ ডিসপার্শন বা ঝুঁকির পরিমান জানা যায়।

অর্থাৎ CV নির্দেশ করে আপনি ১ ইউনিট প্রত্যাশিত লাভের জন্য কতটুকু ঝুঁকি নিচ্ছেন। অর্থাৎ আমাদের উদাহরণে আপনি ১ ইউনিট প্রত্যাশিত লাভ বা রিটার্নের বিপরীতে ০.৭৬২৯ পরিমান ঝুঁকি নিচ্ছেন।

এখন আপনার কাছে যদি একাধিন বিনিয়োগের সুযোগ থাকে তবে আপনি তাদের CV তুলনা করে বলতে পারবেন কোনটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

ঝুঁকিমুক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ – কোনটাতে লাভ বেশি?:

যখন আপনি কোন বিনিয়োগ করেন তখন জানতে হবে সেটাতে ঝুঁকি কতখানি। প্রথমে ধরে নেই আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করবেন। সঞ্চয়পত্রে ১ বছরে পর ৮% লাভ পাওয়া যায়, অর্থাৎ ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে বছর শেষে আপনি ৮০ টাকা লাভ পাবেন। এখন যদি আমি আপনাকে বলি এই টাকাটাই আপনি কোন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেন এবং বছর শেষে আপনি ৮% হারে রিটার্ন পাবেন – তাহলে কি আপনি শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন? অবশ্যই না, তার কারণ আপনি খুব ভাল করেই জানেন যে শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ, এবং এতে লাভ ও ক্ষতি দুটাই হতে পারে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে আমি যদি আপনাকে সঞ্চয়পত্রের সমান লাভ দিতে চাই তাহলে আপনি অবশ্যই রাজি হবে না। এবার আমি অফারটিকে আরও বাড়িয়ে দিলাম এবং ৮% এর বদলে ১৪% লাভের অফার করলাম। এবার আপনি কিছুটা দোটানায় পড়েছেন – কোনটা ভাল হবে বুঝতে পারছেন না: অর্থাৎ আপনি ঝুঁকিমুক্ত ৮% ভাল না ঝুঁকিপূর্ণ ১৪% ভাল সে সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারছেন না। অর্থাৎ আপনার কাছে ঝুঁকিমুক্ত ৮% লাভ ও ঝুঁকিপূর্ণ ১৪% লাভের উপযোগ বা Utility সমান এবং আপনি এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীন যে কোনটা ভাল হবে। এক্ষেত্রে ঝুঁকিমুক্ত ৮% রিটার্ন আপনার জন্য ঝুঁকিযুক্ত ১৪% রিটার্নের নিশ্চয়তার সমানুপাতিক বা Certainty Equivalent। এখানে যদি আপনাকে ১৫% লাভ অফার করা হয় তবে হয়তো আপনি বিনিয়োগ প্রস্তাবটি গ্রহন করবেন। অর্থাৎ কাউকে যদি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয় তবে সেটার লাভের পরিমান যদি ওই ব্যক্তির Certainty Equivalent এর বেশি হয় তবেই সে বিনিয়োগটি করবে। এখানে ১৫% লাভ হলে ৭% (১৫% -৮%) হল রিস্ক প্রিমিয়াম (Risk Premium) বা ঝুঁকির মূল্য।

এখানে আমরা ধরে নিয়েছি যে সব বিনিয়োগকারীই ঝুঁকি অপছন্দ করেন, অথার্ৎ তারা ঝুঁকি বিমুখ বা Risk Averse এবং কোন ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে তাদের আকৃষ্ট করতে হলে সেখানে অবশ্যই রিস্ক প্রিমিয়াম থাকতে হবে। তবে সবক্ষেত্রেই যে একজন বিনিয়োগকারী ঝুঁকি বিমুখ হবেন তা নয়। কিছু কিছু বিনিয়োগকারী আছেন যারা ঝুঁকিমুক্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ দুটাকেই একভাবে দেখেন (Risk Indifferent); আবার কেউ কেউ আছেন ঝুঁকি পছন্দ করেন (Risk Preferred)।

শেষ কথা:

আসলে ঝুঁকি নিয়ে কথার কোন শেষ নাই, এবং আমি জানি আজকের এই সামান্য আলোচনা থেকে আপনাদের খুব বেশি উপকার হয়তো হবে না।

তবে এতক্ষণের আলোচনা থেকে একটা বিষয় নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন, সেটা হল – যে বিনিয়োগে ঝুঁকি যত বেশি, সেখানে লাভও বেশি অফার করতে হয়। অর্থাৎ আপনাকে আমি একটা অতিঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে তখনই আনতে পারবো যখন আমি আপনাকে অতিরিক্ত লাভের প্রস্তাব দেব। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এধরণের বিনিয়োগে বিনিয়োগকারীকে সর্বস্ব হারাতে হয়। আমাদের দেশে ইদানিং এমন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যেখানে সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত মুনাফার আশা দিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হয় – এবং এধরণের বিনিয়োগ করে অনেকেই তাদের মূলধন খুইয়েছেন। সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠানের রাতারাতি হাওয়া হয়ে যাবার ঘটনা আমরা অহরহই দেখছি। শেয়ার মার্কেটে অতিমুনাফার প্রত্যাশায় যথেচ্ছ বিনিয়োগের ফলও কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ভাল কিছু বয়ে আনেনি। তাই বিনিয়োগ করবেন বুঝেশুনে – এবং মুনাফা ও ঝুঁকির বাছবিচার করে।

তাই যখনই দেখবেন কোথাও অতি মুনাফার সম্ভাবনা, সেখানেই সতর্ক হয়ে যাবেন। কারণ যেখানেই অতিমুনাফার প্রস্তাব, সেখানেই মাত্রাতিরিক্ত ঝুঁকি বিদ্যমান।

Comments

comments

About the author

Ali Haidar Khan (Tonmoy)

আমি আলী হায়দার খান; জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইটকাঠ - জনস্রোতের ঢাকায়। ঢাকার বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোন শেষে এসএসসি দিয়েছি লালমাটিয়া বয়েজ স্কুল থেকে আর এইচএসসি নটর ডেম কলেজ থেকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে ব্যবসা প্রশাসনে (BBA) স্নাতক সম্পন্ন করেছি । বর্তমানে বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি এবং সেই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইন্সটিটিউট - IBA তে MBA করছি । মুক্তজ্ঞানের সাথে আমার সখ্য ২০০৪ সাল থেকে, যখন আমি প্রথম উইকিপিডিয়ার সাথে পরিচিত হই এবং এরই ধারাবাহিকতায় একসময় উইকিপিডিয়ার অবদানকারী হয়ে উঠি। আমি উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এর একজন প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রেজারার। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের সাথেও এখন সম্পৃক্ত আছি । প্রকৃতি আমার কাছে অতি প্রিয়, বিশেষ করে পাহাড় আর বনজঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে খুবই ভাল লাগে । তাই আমি সময়-সুযোগ পেলেই হুটহাট বেড়িয়ে পড়ি।

Leave a Reply