«

»

আগস্ট 28

তড়িৎকৌশল পরিচিতি – লেকচার ২

 

 

কোর্স পরিচিতি ও নিবন্ধনের ফর্ম।

 

আপডেট: ইউটিউবে দেখতে না পেলে লেকচারের ভিডিও আছে এখানেও

 

আজকে আমরা ও’মের সূত্র ও এলিমেন্টদের অ্যারেঞ্জমেন্ট নিয়ে আলোচনা করবো।

 

একটা সার্কিটের মধ্যে দিয়ে কি পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে তা তড়িৎপ্রকৌশলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারেন্ট যখন তারের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন সেই শক্তির কিছুটা তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই কারণে কি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে তার উপরে নির্ভর করে তারের পরিধি নির্ধারণ করা হয়। এর সাথে সাথে যদি সার্কটে সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে যন্ত্রপাতিকে ড্যামেজ থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন ডিভাইসও ব্যবহার করা হয় যেগুলোকে সিলেক্ট করা হয় সার্কিটে নরমাল অবস্থায় কি পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হয় তার উপর নির্ভর করে।

 

স্লাইড এর পিডিএফ

 

স্ক্রিপ্ট এর পিডিএফ

তাহলে, প্রশ্ন হচ্ছে একটা সার্কিটে কি পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে তা আমরা নির্ণয় করবো কিভাবে?

প্রাথমিক ভাবে আমাদের প্রথম হাতিয়ার হবে ও’মের সূত্র। ও’মের সূত্র মতে একটা রেসিস্টর দিয়ে গঠিত সার্কিটে যদি V পরিমাণ ভোল্টেজ অ্যাপ্লাই করা হয় R  পরিমাণ রেসিসটেন্স এর দুই পাশে, তাহলে সার্কিটে যে I পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হবে, তা নিম্নের সূত্র মেনে চলবে –

ও’মের সূত্র:

V  = IR

কেবলই গাণিতিক ভাবে চিন্তা করলে, এই সূত্র আমাদের কি বলছে?

  • ধ্রুবক রেসিসটেন্স এর জন্যে, ভোল্টেজ কমালে কারেন্ট কম প্রবাহিত হবে, আর ভোল্টেজ বাড়ালে কারেন্ট বেশি প্রবাহিত হবে।
  • ধ্রুবক ভোল্টেজের জন্যে, রেসিসটেন্স বেশি হলে কারেন্ট কম প্রবাহিত হবে, আর রেসিসটেন্স কম হলে কারেন্ট বেশি প্রবাহিত হবে।

 

তাহলে ১০V ভোল্টেজের উৎসকে একটা ৫ Ω রেসিস্টেন্স (রোধ) এর সাথে যুক্ত করে বর্তনী সম্পন্ন করা হলে বর্তনীতে কত কারেন্ট প্রবাহিত হবে তা আমরা বের করবো এভাবে – 

সূত্র থেকে,  I = V/R = (১০V)/(৫ Ω) = ২ A

 

সার্কিট সিমুলেটর অ্যাপ্লেট এর লিংক – http://www.falstad.com/circuit/

 

তো উপরের উদাহরণে তো আমরা মাত্র একটা রেসিস্টর ব্যবহার করেছি। বাস্তবে কি সার্কিট এতটাই সহজ সরল হয়?

এর উত্তর হচ্ছে না। বাস্তবে একটা বিদ্যুত ব্যবহার করে আমরা যেগুলো চালাই – যেমন লাইট বাল্ব, সেগুলোকে “লোড” বলে। বেশির ভাগ “লোড”ই একেকটা রেসিসটর। এমনকি যে তার ব্যবহার করে লোড গুলিকে সার্কিটে যুক্ত করা হয়, তাও রেসিস্টর হিসেবে কাজ করে। যদিও আমরা এখনকার মতন হিসেবের সুবিধার্থে তারের রেসিসটেন্সকে অবহেলা করছি।

তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে জটিল সার্কিটে আমরা কিভাবে হিসাব নিকাশ করি?  

আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে এলিমেন্টগুলি কিভাবে সংযুক্ত রয়েছে। সাধারণভাবে মূলত: দুইভাবে এদের সংযোগ করা যায় –

 

সিরিজ:

সিরিজ বর্তনী হলো একটা ট্রেনের মতন। প্রতিটা রেসিস্টরের এক প্রান্ত অন্যটার আরেক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকবে।

 

১) প্রতিটি রেসিস্টরের মধ্যে দিয়ে একই (সমান পরিমাণ) কারেন্ট প্রবাহিত হবে।

২) প্রতিটি রেসিস্টরে ভোল্টেজ ড্রপ এর মান নির্ভর করবে প্রতিটি রেসিস্টরের

মানের উপরে।

৩) সিরিজে থাকা সবগুলো রেসিস্টরকে একটা রেসিস্টর দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে গেলে সেই রেসিস্টরের মান যা হবে তাই হচ্ছে ইকুইভ্যালেন্ট বা মোট রেসিসটেন্স।

সূত্র:

Rtotal = R1+R2+…Rn

 

প্যারালাল:

প্যারালাল বর্তনী হলো একটা মই এর মতন। সবগুলো রেসিস্টর দুই প্রান্তেই অন্য সবগুলোর  সাথে যুক্ত থাকবে।

১) প্রতিটি রেসিস্টরের দুপাশের ভোল্টেজ ড্রপ একই (সমান) হবে।

২) প্রতিটি রেসিস্টরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কারেন্টের পরিমান মান নির্ভর করবে প্রতিটি রেসিস্টরের মানের উপরে।

৩) প্যারালালে থাকা সবগুলো রেসিস্টরকে একটা রেসিস্টর দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে গেলে সেই রেসিস্টরের মান যা হবে তাই হচ্ছে ইকুইভ্যালেন্ট বা মোট রেসিসটেন্স।

 

সূত্র:

(1/Rtotal) = (1/R1) + (1/R2) + … + (1/Rn)

 

 

কুইজ – ২ কুইজে অংশ নিতে হলে এখানে ক্লিক করুন অথবা নিচের ফর্মে সরাসরি কুইজটির জবাব দিন।

JavaScript isn't enabled in your browser, so this file can't be opened. Enable and reload.

শিক্ষক.কম সাইটে তড়িৎ কৌশল পরিচিতি কোর্সের কুইজ-২
ইমেইল অ্যাড্রেস ঠিক আছে কিনা লক্ষ্য করুন।
Sign in to Google to save your progress. Learn more
* Indicates required question
আপনার পূর্ণ নাম
Your answer
"ইমেইল ঠিকানা
Your answer
কয়েকটি রেসিস্টরকে সিরিজে সংযুক্ত করলে মোট  বা সমতুল্য  রেসিস্টেন্স *
কয়েকটি রেসিস্টরকে প্যারালালে  সংযুক্ত করলে মোট  বা সমতুল্য  রেসিস্টেন্স *
কনভেনশনাল ফ্লো অনুসারে কারেন্ট প্রবাহিত হয় *
কতগুলো রেসিস্টরকে সিরিজে সংযুক্ত করলে
Clear selection
কতগুলো রেসিস্টরকে প্যারালালে সংযুক্ত করলে *
Submit
Clear form
Never submit passwords through Google Forms.
This content is neither created nor endorsed by Google. Report Abuse - Terms of Service - Privacy Policy
 
 

Comments

comments

About the author

ডেভিড বিশ্বাস

পেশায় আমি তড়িৎ প্রকৌশলী। পড়াশোনা তড়িৎ প্রকৌশলের কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রন) , কমিউনিকেশন (যোগাযোগ) এবং সিগন্যাল প্রসেসিং (সংকেত নিয়ন্ত্রন) শাখায় হলেও বর্তমানে আমি একটি পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যুত বন্টন ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নির্ভরশীলতা (Reliability) নিয়ে কাজ করছি।

এই সংক্ষিপ্ত কোর্সে আমি তড়িৎ প্রকৌশলের খুবই প্রাথমিক কিছু ধারণা ও উপকরণ তুলে ধরবার চেষ্টা করবো।

Leave a Reply