«

»

আগস্ট 27

HSC English Text Reading – Lecture 17

Unit-6     Lesson-3    Text Book page no- 74
In recent years, there have ……

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]

বিষয়বস্তু
বিশ্বের তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। চারদিকে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিই এর কারণ। বিশেষজ্ঞদের ধারনা ‘গ্রীন হাউজ ইফেক্ট’ ই বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ। গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের রেইনফরেষ্ট ধ্বংস, যানবাহন-কলকারখানার ধোঁয়া এবং সি. এফ. সি গ্যাস ইত্যাদি উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমান শতাব্দির মাঝামাঝিতে বিশ্বের সামগ্রিক তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি পাবে ফলে খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাবে, বন্য জীবজন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উপকূল এলাকা ডুবে যাবে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নভূমি পানির নিচে ডুবে যেতে পারে।

লেকচার
‘গ্রীণ হাউজ ইফেক্ট’ বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ বলে বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন। ‘গ্রীণ হাউজ‘ কথাটি ব্যবহার করা হয় শীতের দেশে শাকসব্জী উৎপাদনের জন্য তৈরী একধরনের কাঁচের ঘরকে বুঝাতে। কানাডাসহ বেশ কিছু দেশে যেখানে সূর্যের আলো যথেষ্ট নয়, তাপও তীব্র নয় ফলে উন্মুক্ত স্থানে গাছপালা জন্মায় না। গাছপালা জন্মানোর জন্য যে পরিমাণ সূর্যের তাপ প্রয়োজন তা কৃত্রিমভাবে তৈরী করা হয়। কাঁচের ছাদ ও কাঁচের দেয়াল বিশিষ্ট বড় বড় ঘর তৈরী করে সে ঘরের মধ্যে মাটি ফেলে সবুজ শাকসব্জী উৎপাদন করা হয়। কাঁচের ঘরের একটি বৈশিষ্ট্য হল কাঁচের ভিতরে তাপ প্রবেশ করতে পারে কিন্তু বের হতে পারে না। এভাবে শীতের দেশে গ্রীন হাউজগুলিতে অল্প অল্প করে সূর্যের তাপ প্রবেশ করে গ্রীন হাউজের ভিতরের তাপমাত্রা বেশ গরম হয়ে উঠে এবং গাছপালা জন্মানোর উপযুক্ত হয়ে উঠে। ধীরে ধীরে সবুজ শাকসব্জীতে কাঁচে ঘেরা ঘরটি সবুজ হয়ে ওঠে। এজন্য কাঁচে ঘেরা এসব ঘরকে ‘গ্রীন হাউজ’ বা সবুজ ঘর বলা হয়। যা-ই হোক, পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে ‘গ্রীন হাউজ এফেক্টে’র কথা বলা হয় তার সাথে এই সবুজ ঘর বা সব্জী জন্মানোর গ্রীন হাউজের কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু পদ্ধতিগত মিল বুঝাতে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির ব্যাপারটিকে গ্রীন হাউজের সাথে তুলনা করা হয়। গ্রীন হাউজের ভিতরে যেমন তাপ প্রবেশ করতে পারে কিন্তু বের হতে পারে না তেমনিভাবে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উপরের স্তরে কার্বনডাই অক্সাইডের বিপুল আস্তরণ জমা হয়ে এমন হয়েছে যে, কার্বন ডাই অক্সাইডের ঐ স্তরটি কাঁচে ঘেরা গ্রীন হাউজের মত ‘ইফেক্ট’ বা ফলাফল তৈরী করে। বায়ুমন্ডলের উপরের স্তরে জমাকৃত কার্বন ডাই অক্সাইডের স্তরটি সূর্যের তাপকে পৃথিবীপৃষ্ঠে আসতে দেয় কিন্তু তাপ বের হতে দেয় না। দিনের বেলায় পৃথিবীতে যে পরিমাণ তাপ প্রবেশ করে রাতের বেলায় কিছুটা তাপ হারিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠ কিছুটা ঠান্ডা হওয়া প্রকৃতির ভারসাম্যের জন্য দরকার। কিন্তু বায়ুমন্ডলের চারপাশে জমাকৃত কার্বন ডাই অক্সাইডের স্তরটি তা হতে দেয় না। কলকারখানার ধোঁয়া আর অন্যান্য দূষণকারক গ্যাস বায়ুমন্ডলের চারপাশ ঘিরে গ্রীন হাউজের কাঁচের মত একটি আবরণ তৈরী করে সমস্ত পৃথিবীটাকে যেন একটা গ্রীন হাউজ বানিয়ে ফেলেছে। কার্বন ডাই অক্সাইডের স্তরটি পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গ্রীন হাউজের মত ‘ইফেক্ট’ বা ফলাফল তৈরী করছে বলে একে গ্রীন হাউজ ইফেক্ট বলা হয়। পৃথিবী থেকে নির্গত ধোঁয়া ভূপৃষ্ঠের অনেক উপরে উঠে সমস্ত পৃথিবীকে ঘিরে একটি অদৃশ্য আবরণ তৈরী করেছে। যে আবরণের ভিতরে তাপ প্রবেশ করতে পারে কিন্তু বের হতে পারে না। এভাবে দিনে দিনে পৃথিবীর তাপমাত্রা অল্প অল্প করে স্থায়ী বৃদ্ধি লাভ করছে।
গ্রীন হাউজ ইফেক্টের ফলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত তাপমাত্রার হার খুবই অল্প তবে তা স্থায়ী। আগামী ৫০ বছরে সমস্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা যখন ৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি পাবে তখন পৃথিবীতে তা বিরাট পরিবর্তন ঘটাবে। আমরা জানি, পানির স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। এবং ০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় পানি বরফে পরিণত হয়। বলা হয়ে থাকে যে, ৫ টি মহাসমুদ্রে যে পরিমাণ পানি আছে তার প্রায় সমপরিমাণ পানি পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলসহ বিভিন্ন হিমাঙ্ক অঞ্চলে বরফ আকারে জমা হয়ে আছে। তবে ০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থেকে শুরু করে আরও নিম্ন তাপমাত্রার বরফও থাকতে পারে। সৌভাগ্যের বিষয় পৃথিবীর বিভিন্ন হিমাঙ্ক অঞ্চলে যে বিপুল পরিমাণ বরফ জমা হয়ে আছে তা বেশীরভাগই ০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার অনেক নিচে। আগামী ৫০ বছরে যখন সমস্ত বিশ্বের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি পাবে তখন পৃথিবী পৃষ্ঠের যেখানে যেখানে ০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার বরফ আছে তা সবই গলে পানি হয়ে যাবে এবং বিপুল পরিমাণ পানি সমুদ্রে চলে আসবে। এভাবে সমুদ্রের তল বেড়ে গিয়ে নদীগুলিতে উল্টোমুখি স্রোত তৈরী হবে। স্বাভাবিক নিয়মে নদী থেকে পানি সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয় কিন্তু সমুদ্রের তল বৃদ্ধির ফলে নদী থেকে পানি সমুদ্রে প্রবেশ না করে বরং সমুদ্রের লবণাক্ত পানি নদীতে উঠে আসবে। ফলে নদীর আশেপাশে বহুদূর পর্যন্ত জমির মাটি লবণাক্ত হয়ে জমি উর্বরতা হারাবে। ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হবে। সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্র উপকূল অঞ্চলগুলি ডুবে যাবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের জন্য আশংকার কারণ আছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নিুভূমি ডুবে যেতে পারে।

Text
In recent years, there have been many alarming reports that the world’s climate is undergoing a significant change. All these reports provide strong evidence that world temperatures are increasing day by day. This increase in global warming is caused by Increased amounts of carbon dioxide around the earth. Most climatologists believe that the “greenhouse effect is the most likely cause of this global warming.
What is the greenhouse effect? It is the gradual warming of the air surrounding the earth as a. result of heat being trapped by environmental pollution. This is exemplified by the destruction and burning down of tropical rain forests, by traffic that clogs up city streets, by aie rapid growth of industry, the use of chlorofluorocarbons (CFCs) in packaging and manufacturing commercial products, the use of detergents such as washing powder and washing-up liquid and so on. The oceans are also said to. be affected both because of human waste and because of pollution caused by industrial waste products, oil seeping from damaged supertankers and from other maritime disasters. However, the main culprits for global warming are carbon dioxide gas, produced by the burning of fossil fuels and crests and pollutants such as methane and chlorofluorocarbons.
Climatologists predict that by midway through the next century temperatures may have risen by as much as 4 C. This could catastrophically reduce mankind’s ability to grow food, Destroy or severely damage wildlife and wilderness, raise sea levels and thereby flood coastal areas and farmland. The alarming news about Bangladesh is that as a result of the rise of the sea level the lower southern part of the country may one day go under water.

Comments

comments

About the author

ফিরোজ আহমেদ

আমি ফিরোজ আহমেদ। অবস্থান- বগুড়া শহর, বগুড়া, বাংলাদেশ। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডসহ ইংরেজী সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছি। “এ্যাপ্লাইড ইংলিশ পয়েন্ট”- নামে ইংরেজী শিক্ষার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। পাঠ্য সহায়ক পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে খন্ডকালীন লেখক হিসেবে জড়িত। সাহিত্য বিষয়ের সমালোচনামূলক পাঠপত্রের ভক্ত। সৃষ্টিশীল লেখালেখিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের একাডেমিক পড়াশুনাতে মাল্টিমিডিয়া এবং আইটি সুবিধাদির ব্যাপক প্রসার হোক এটাই আমার একান্ত চাওয়া।

Leave a Reply