«

»

আগস্ট 21

HSC English Text Reading – Lecture 15

Unit-6     Lesson-1    Text Book page no- 71
The environment refers to ……

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]
বিষয়বস্তু
মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ, মাটি পানি সবকিছু মিলেই আমাদের পরিবেশ। ঝড়, ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক শক্তিগুলিও পরিবেশের উপাদান। পরিবেশের সকল উপাদান পরস্পরের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। জটিল জালের মত বুনানো এ সম্পর্ককে বলা হয় ইকোসিস্টেম। ইকোসিস্টেমের কোনো এক অংশে পরিবর্তন ঘটালে তা সমস্ত পরিবেশকেই বিঘ্নিত করে। ভালভাবে বেঁচে থাকার স্বার্থেই মানুষের উচিত পরিবেশকে রক্ষা করা।

লেকচার
আমাদের চারপাশের সবকিছু মিলেই পরিবেশ। অনেকে পরিবেশ বলতে কোনো স্থানের আবহাওয়াকে বুঝে থাকেন। কিন্তু আবহাওয়া পরিবেশ নয়। আবহাওয়া হচ্ছে পরিবেশের একটি উপাদান। পরিবেশের সমস্ত উপাদান যথা: মানুষ, উদ্ভিদ, প্রাণী, ঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প সমস্তকিছুই পরস্পরের সাথে ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। এটি একটি সত্যিকারের গাণিতিক সিস্টেম। গণিতের ধারাবাহিকতায় কোথাও যদি একটা সংখ্যা কিংম্বা একট যোগ চিহ্ণ বা বিয়োগ চিহ্ণ বদলে দেয়া যায় তবে সমস্ত ধারাটাই পরিবর্তিত হয়ে শেষ পর্যন্ত অংকের ফলাফলও বদলে যায়। একইভাবে প্রকৃতির উপাদানগুলিও পরস্পরের সাথে গাণিতিক ধারাবাহিকতায় যুক্ত। একটা উপাদানের ক্ষতি সাধন করলে তা শেষ পর্যন্ত মানুষের অস্তিত্বকেও বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ব্যাঙের কথা। আপাতঃদৃষ্টিতে আমাদের কাছে মনে হতে পারে যে, ব্যাঙ একটি গুরত্বহীন প্রাণী। ধরে নিচ্ছি, কোনো নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ১ কোটি ব্যাঙ মেরে ফেলা হল অথবা সেখানে কোনো কারণে ব্যাঙের সংখ্যা বিপুলভাবে কমে গেল। এর ফলে কি হবে? ১ টি ব্যাঙের ১ দিনের খাদ্য যদি হয় ১০ টি পতঙ্গ তবে ১ কোটি ব্যাঙের ১ দিনের খাদ্য হবে ১০ কোটি পতঙ্গ। ব্যাঙ নিধনের ফলে প্রতিদিন ঐ এলাকায় ১০ কোটি পতঙ্গ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এই হারে বৃদ্ধি ঘটতে থাকলে ঐ এলাকায় ১০ দিনের মধ্যে ১০০ কোটি পতঙ্গ বৃদ্ধি পাবে। একসময় এই ১০০ কোটি পতঙ্গ বনের ঘাসপাতা খেয়ে শেষ করার পর খাদ্য না পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ ক’রে মানুষের ফসলের ক্ষেত আক্রমণ করে ফসল খাওয়া শুরু করবে। মানুষের খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে। মানুষের অস্তিত্ব হুমকীর মুখে পড়বে। যাহোক, উদাহরণটি কোনো সাইন্স ফিকশনের মত শোনালেও তা মোটেও অবাস্তব কোনো কাহিনী নয়। এটি সত্যিকারের ঘটনা। অতীতে আমাদের দেশের অনেক অঞ্চলে পঙ্গপালের আক্রমণে ফসলের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে প্রায়ই পঙ্গপালের আক্রমণে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়। প্রেইরী অঞ্চলে প্রায়ই ঘন মেঘের মত আকাশ ঢেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পোকমাকড় উড়ে এসে অল্প সময়ের মধ্যেই ফসলের ক্ষেত খেয়ে সাবাড় করে দেয়। একটুকরা খড়ও অবশিষ্ট রাখেনা। এভাবে দেখা যায় কোনো অঞ্চলে ব্যাঙের সংখ্যা কমে গেলে সেখানে পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব হয়। কিছুদিন আগে আমাদের দেশে নতুন এক দুর্যোগ দেখা দিয়েছিল যার নাম ‘ইঁদুর বন্যা’। পাহাড়ের ঢালে জুম চাষীদের চাষ করা ফসলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইঁদুরের আক্রমণ করে। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বন্যার পানির মত ঝাঁকে ঝাঁকে ইঁদুর যখন আসে তখন তা দেখে মনে হয় যেন ইঁদুর বন্যা শুরু হয়েছে। একারণে স্থানীয় চাষীরা এর নাম দিয়েছিল ‘ইঁদুর বন্যা’। এভাবে ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হলে তা মানুষের জন্য বিপুল ক্ষতি ডেকে আনে। শুধু প্রাণীজগতই নয় উদ্ভিদজগতের ক্ষতি সাধন করলে অবশেষে তা মানুষের জন্যই অমঙ্গল ডেকে আনে। যেমন, অবিবেচকের মত গাছ কাটার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত গাছ কাটার ফলে বৃষ্টিপাতের হার কমে যায় ফলে মাটিতে পানির ভাগ কমে যায়। আবার গাছ না থাকার ফলে সূর্যের তাপ সরাসরি মাটির উপর পড়ে। সরাসরি তাপ গ্রহণের ফলে দিনের বেলায় মাটির অনুগুলির প্রসারণ বেশী হয় আবার রাতের বেলায় তাপ হারিয়ে অনুগুলির সংকোচন বেশী হয়। এভাবে দিনের পর দিন সংকোচন-প্রসারণের ফলে মাটির কণাগুলি স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। অতঃপর মাটির কণাগুলি ভেঙ্গে গিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণায় পরিণত হয়। অবশেষে সমস্ত এলাকাটি মরূভূমিতে পরিণত হয়। তাই মানুষের উচিত নিজের স্বার্থেই পরিবেশকে রক্ষা করা। ব্যক্তিগত পর্যায়েও আমাদের পরিবেশ সচেতন হওয়া উচিত। পরিবেশ রক্ষায় বিরাট অবাদন আমরা রাখতে না পারি কিন্তু আমাদের যার যতটুকু গন্ডি বা পরিসর আছে নিজ নিজ সেই পরিসরে পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা তো আমরা করতে পারি। যেমন: উন্মুক্ত স্থানে কাশি-থুথু না ফেলা, প্রকাশ্যে ধূমপান না করা, কলার খোসাটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা ইত্যাদি কাজ করেও আমরা পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারি।

Main Text:
The environment refers to the air, water and land in which people, animals and plants live. So human beings, animals, plants, air, water and soil are the main elements of the environment. The natural forces such as storms, cyclones and earthquakes are also a part of this environment. Climate is thus a condition of the environment.
All things that make up the environment are interrelated. The way in which people, animals and plants are related to each other and to their surroundings is known as ecology. The ecosystem is a complex web that links animals, plants and every other life form in the biosphere. All these things hang together. The system is in a steady state of dynamic balance which means that by altering any one part of the web, you can affect all the other parts. For example, the destruction of forests may have serious ecological consequences on humans and animals.
It is the responsibility of human beings to prevent the environment from being spoilt. To make life healthy and comfortable, we should keep the environment clean and danger-free. But often people spoil the environment by doing unwise things and, as a result, endanger their own lives. It is the ecological imbalance that causes changes in the world’s climate and brings about different kinds of natural disasters.

Comments

comments

About the author

ফিরোজ আহমেদ

আমি ফিরোজ আহমেদ। অবস্থান- বগুড়া শহর, বগুড়া, বাংলাদেশ। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডসহ ইংরেজী সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছি। “এ্যাপ্লাইড ইংলিশ পয়েন্ট”- নামে ইংরেজী শিক্ষার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। পাঠ্য সহায়ক পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে খন্ডকালীন লেখক হিসেবে জড়িত। সাহিত্য বিষয়ের সমালোচনামূলক পাঠপত্রের ভক্ত। সৃষ্টিশীল লেখালেখিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের একাডেমিক পড়াশুনাতে মাল্টিমিডিয়া এবং আইটি সুবিধাদির ব্যাপক প্রসার হোক এটাই আমার একান্ত চাওয়া।

Leave a Reply