«

»

জুলাই 21

HSC English Text Reading – Lecture 12

Unit-4     Lesson-5    Text Book page no- 54
The village Somal ………..

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]
বিষয়বস্তু
গহীন বনের ভিতরে আধুনিক জীবন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম সোমাল। গ্রামের বাসিন্দাদের একঘেঁয়ে সাদামাটা জীবনে একমাত্র বিনোদন ছিল নামবীর গল্প। বৃদ্ধ গল্পকার নামবী একমাস ধরে গল্প বানাত আর দশদিন লাগত সে গল্প বলতে। নামবী গ্রামের শেষপ্রান্তে এক বিশাল বট গাছের নিচে মন্দিরের মধ্যে থাকত। বটগাছের কোটরে আলো জ্বালিয়ে নামবি লোকদেরকে গল্প শুনতে আহ্বান করত। মহাকাব্যের আকারে নামবী তার গল্প বলত। চাঁদনী রাতের আকাশে যতক্ষণ চাঁদ থাকত ততক্ষণই গল্প চলত। গল্পের শেষ দিন দেবদেবীদের সামনে প্রার্থনার মাধ্যমে গল্প সমাপ্ত হত। নামবীর গল্প গ্রামের লোকদের কঠিন নিরস জীবনে কিছুটা সান্ত্বনা যোগতো। এভাবে চলতে চলতে একসময় নামবীর গল্প বলার ক্ষমতা হারিয়ে গেল। নামবী উপলব্ধি করল তার উপর বার্ধক্য ভর করেছে। অবশেষে অন্যের দুয়ারে দু’মুঠো খাবার খেয়ে কোনো মতে বেঁচে থাকাটাই নামবীর ভাগ্য হয়ে দাঁড়ালো।

লেকচার
দক্ষিণ ভারতের একটি নিভৃত অজ পাড়া গ্রাম, সোমাল গ্রামের পটভূমিতে ১৯৪০ সালের দিকে লেখা আর,কে নারায়ণের এ গল্পটি ১৯৪৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। সবচেয়ে কাছের বাসস্ট্যান্ড থেকে ১০ মাইল দূরে গহীন বনের ভিতর অবস্থিত সোমাল গ্রাম যেন প্রাচীনকালের গ্রামসভ্যতার প্রতীক। যখন আধুনিকতা ছিল না, ছিলনা এত ভোগ সামগ্রীর আয়োজন। তখন শুধু চারটে মোটা ভাত আর মোটা কাপড় পেলেই মানুষ খুশি থাকত। জীবনে আরও কিছু চাওয়া-পাওয়া যে থাকতে পারে সেকথা তারা জানতোই না। সেরকম এক সমাজেরও ছিল অবসর যাপনের জন্য নিজস্ব বিনোদন ব্যবস্থা। আজকের যুগে টি.ভি, কম্পিউটার, ফুটবল, ক্রিকেট আর সিনেমা আবিস্কার হয়েছে বলেই যে শুধু আজকের যুগের মানুষরাই বিনোদন করছে, তা নয়। আধুনিক কিংম্বা প্রাচীন প্রত্যেক সামাজের মানুষেরই ছিল নিজস্ব বিনোদন ব্যবস্থা। খাওয়া-পরার চাহিদার পরেই বিনোদন যেন মানুষের এক অনিবার্য চাহিদা। সোমাল গ্রামের এই কাহিনীটি যেন এ সত্যটিই আমাদের সামনে তুলে ধরে। সোমাল গ্রামের লোকদের অবসর বিনোদনের প্রধান আকর্ষণ ছিল নামবীর গল্প। শ্লুকপক্ষের চাঁদনী রাতগুলিতে নামবীর গল্প বলা চলত দশদিন যাবৎ। নামবীর গল্প ছিল মহাকাব্যিক আকারের। অর্থাৎ সেখানে বড় বড় মানুষদের কাহিনী, রাজারাজড়াদের কাহিনী ভাবগম্ভীর ভাষায়, বিশাল গল্পের আকারে বর্ণনা করা হত। গল্প শুনতে শুনতে লোকেরা কিছু সময়ের জন্য হলেও তাদের বাস্তব জীবনের দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্ত হয়ে মোহময়তার মধ্যে ডুবে যেত। তাছাড়া নামবী তার গল্পের সাথে সবসময় একটি ধর্মীয় আবহ জুড়ে দিত। নামবী দেবদেবীর কাছ থেকে তার গল্পের প্রেরণা পেত বলে নিজে বিশ্বাস করত এবং তার শ্রোতারাও তা বিশ্বাস করত। নামবীর গল্পগুলি একটি দৈব উৎস থেকে আসত বলে সকলেই বিশ্বাস করত। এভাবে নামবীর গল্প শুধু গল্পই নয় এ যেন এক প্রকার ধর্মীয় উপাখ্যান। নামবীর গল্পের শিক্ষা বা নীতিকথাকে লোকেরা প্রায়ই উদ্ধৃতি দিত। যেমন আমাদের সময়ে কোনো দূর্নীতিবাজের পতন ঘটলে আমরা বলি যে, “স্রষ্টা অন্যায় সহ্য করেন না তাই দূর্নীতিবাজের পতন ঘটেছে।” এভাবে সোমাল গ্রামের লোকেরাও নামবীর গল্পের নীতিকথা বা সারমর্মকে ধর্মের বাণীর মত ব্যবহারিক জীবনে মেনে চলত। তাছাড়াও আমরা দেখি নামবীর গল্প দেবীদের সামনে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শেষ হত। সে প্রার্থনায় নেতৃত্ব দিত নামবী। এভাবে নামবী যেন শুধু এক গল্পকারই নয়, সে যেন সোমাল গ্রামের এক আধ্যাত্মিক গুরু। আর নামবীর গল্প যেন শুধু গল্প বা বিনোদনই নয় এ যেন প্রাচীন সমাজের ধর্ম-কাহিনী বা ধর্মপুরাণের মত। সোমাল গ্রামের এ কাহিনীটির মাধ্যমে লেখক আর.কে. নারায়ণ পুরাণভিত্তিক ধর্মগুলির উদ্ভবের সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
এ গল্পের আর একটি গভীর প্রেক্ষাপট আছে। আর তা হলো ধর্ম বিশ্বাসের যুগ থেকে আধুনিক বাস্তবাদী যুগে প্রবেশের কাহিনী। নামবী যখন পরপর দু’বার গল্প বলায় বিফল হল তখন লোকেরাও ধীরে ধীরে তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। নামবীও বুঝতে পারলো যে, এ জীবনটা কঠিন জাগতিক নিয়মে বাঁধা। জাগতিক নিয়মে শরীরের উপর যখন নিদারুন বার্ধক্য ভর করে তখন দেবদেবীর প্রেরণাও কোনো কাজে আসে না। এভাবে নামবী তার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটি পায়। তেল যখন ফুরিয়ে যায় তখন বাতির আর কোনো দাম থাকেনা। তেল ফুরিয়ে গেলে যতই আগুন দেয়া হোক বাতির সলতে আর জ্বলবে না, বাতি আলোও দেবে না। একইভাবে শরীর যখন চলে না তখন দেবদেবীর প্রেরণাও গল্পের রসদ যোগাতে ব্যর্থ হয়। এভাবে নামবী তার আধ্যাত্মিক ধর্মবাদীতা থেকে বের হয়ে বাস্তববাদী একটা ধ্যানধারণা গ্রহণ করতে পারে। শেষ পর্যন্ত নামবী তার চূড়ান্ত আধ্যাত্মবাদকে কঠিন বাস্তবাদের সাথে সমন্বয় করে নিতে পারে। সে বলে যে, বার্ধক্য যখন আসে তখন দেবীর প্রেরণা কোনো কাজে আসে না তবে বার্ধক্য আসে দেবীর ইচ্ছাতেই। আর দেবীরাই গল্প বলার ক্ষমতা দেয় তারাই আবার তা কেড়ে নেয়। এভাবে ধর্মবাদীতার সাথে বাস্তববাদীতার সমন্বয়ের মাধ্যমে গল্পটি শেষ হয়। আর.কে. নারায়ণের লেখা বহুমাত্রিক এ গল্পটি সংক্ষিপ্ত হলেও এর ডাইমেনশনগুলির গভীরতা মনোযোগী পাঠককে আনন্দ দেয়।

 

Main Text-
The village Somal, nestling away in the forest tracts of Mempi, had a population of less than three hundred. It was a remote village cut off from the rest of the world; nevertheless the people of the village lived in a kind of perpetual enchantment. The enchanter was Nambi the story-teller. He was a man of about sixty or seventy — who could say! If any one asked Nambi what his age was, he referred to an ancient famine or an Invasion or the building of a bridge and indicated how high he had stood from the ground at the time. He was illiterate in the sense that the written word was a mystery to him; but he could make up a story, in his head, at the rate of one a month; each story took nearly ten days to narrate. His home was the little temple at the very edge of the village. He spent most of the day in the shade of the banyan tree that spread out its branches in front of the temple. On the nights he had a story to tell, he lit a small lamp and placed It In a niche in the trunk of the banyan tree. Villagers, as they returned home in the evening, saw this, went home and said to their wives, “Now, now, hurry up with the dinner, the story-teller is calling us.” As the moon crept up behind the hillock, men, women and children gathered under the banyan tree. The story-teller would open the story with a question. He asked, “A thousand years ago, a stone’s throw in that direction, what do you think there was? It was not the weed-covered waste it is now. It was not the ash-pit it is now. It was the capital of the king………”

Comments

comments

About the author

ফিরোজ আহমেদ

আমি ফিরোজ আহমেদ। অবস্থান- বগুড়া শহর, বগুড়া, বাংলাদেশ। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডসহ ইংরেজী সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছি। “এ্যাপ্লাইড ইংলিশ পয়েন্ট”- নামে ইংরেজী শিক্ষার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। পাঠ্য সহায়ক পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে খন্ডকালীন লেখক হিসেবে জড়িত। সাহিত্য বিষয়ের সমালোচনামূলক পাঠপত্রের ভক্ত। সৃষ্টিশীল লেখালেখিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের একাডেমিক পড়াশুনাতে মাল্টিমিডিয়া এবং আইটি সুবিধাদির ব্যাপক প্রসার হোক এটাই আমার একান্ত চাওয়া।

Leave a Reply